পণাতীর্থে লাখো মানুষের পুণ্য স্নান
- আপলোড সময় : ২৮-০৩-২০২৫ ০২:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৮-০৩-২০২৫ ০২:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীতে এবার লাখো পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে। উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর জন্মধাম রাজারগাঁও গ্রাম সংলগ্ন যাদুকাটা নদীতে বুধবার ২৬ মার্চ রাত ১১/০১/৫৩ সেকেন্ড গতে বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ রাত ৯/২৪/৪৮ সেকেন্ডের মধ্যে পণাতীর্থে গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত হয়। এই পুণ্য স্নানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জানান, চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে যাদুকাটা নদীতে স্নান করলে সব পাপ মোচন হয় বলে প্রচলিত আছে। পুণ্য লাভের আশায় প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই সময়ে লাখো মানুষ আসেন যাদুকাটা বা পণাতীর্থে স্নান সারতে। এ নদীতে স্নান করাকে অনেকে গঙ্গা স্নানের সমতুল্য মনে করেন।
প্রচলিত আছে, ১৪০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে মাকে গঙ্গা স্নান করানোর জন্য যোগ সাধনা বলে পৃথিবীর সমস্ত তীর্থের জল যাদুকাটা নদীর প্রবহমান জলের ধারায় একত্রিত করে মাতৃআজ্ঞা পূরণ করেছিলেন তখনকার লাউড় রাজ্যের সাধক ও সিদ্ধপুরুষ অদ্বৈতচার্য। তার সাধনাসিদ্ধ ফল বারুনী যোগ নামে অভিহিত। চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীসহ সাত পুণ্যনদীর প্রবাহ একসঙ্গে যাদুকাটায় (পুণ্যতীর্থে) এসে মিশে বলেও বিশ্বাস করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এজন্য তারা মনে করেন সব তীর্থের সেরা তীর্থ এটি। এখানে স্নান করলে গঙ্গা স্নানের চেয়েও বেশি পুণ্য হয় বলে বিশ্বাস রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ